রয়েল মালাবার জুয়েলার্সের প্যাভিলিয়নে মিম-গৌতম
- বিনোদন ডেস্ক
- রোববার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ৫:১০ এএম
- বিনোদন
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলায় গহনাপ্রেমী আর দর্শনার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত প্রাঙ্গণ। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মেলায় চলছে অফারের ছড়াছড়ি। তারই অংশ হিসেবে অভিনব এক গেম অফার দিচ্ছে রয়েল মালাবার জুয়েলার্স।
প্রতিবারের মতো এবারও কাচের বাক্সের মধ্যে রাখা ৭ কেজি ওজনের সোনার বার এর খেলা রেখেছে রয়েল মালাবার জুয়েলার্স। ছোট ছিদ্র দিয়ে হাত ঢুকিয়ে কেউ যদি শুধু এক হাত ব্যবহার করে ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে স্বর্ণের এই ডেমো বারটি বের করতে পারে তাহলে মিলবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এই খেলায় অংশ নেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম ও ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।
মেলা অনুষ্রাঠিত হচ্ছে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে। তিন দিনব্যাপী চলবে এই বাজুস ফেয়ার। আর এই তিনদিনই চলবে এ গেম খেলার সুযোগ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাজুস ফেয়ারে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় আগত ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের অনেকেই রয়েল মালাবার জুয়েলার্স লিমিটেডের প্যাভিলিয়নের সামনে জড়ো হচ্ছেন। প্রায় সবাই একবার করে চেষ্টা করছেন সোনার বারটি কাচের বাক্স থেকে বের করতে। তবে এবারের মেলায় এখন পর্যন্ত কাউকেই সেই বার বের করায় সফল হতে দেখা যায়নি।
সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন কাচের বাক্সে হাত ঢুকিয়ে সোনার বার বের করার গেম খেলার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশেও গত বছর থেকে বাজুস ফেয়ারে এমন আয়োজন রাখছে রয়েল মালাবার জুয়েলার্স লিমিটেড।
তবে যে কেউ সোনার বারটি কাচের বাক্স থেকে বের করতে পারলে পুরস্কার মিলবে না। এর জন্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।
প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার আশরাফ খান অপু বলেন, গত বছর থেকে আমরা বাজুস ফেয়ারে আগতদের জন্য এমন আয়োজন করছি। মেলায় আগতরা যে কেউ চাইলেই এই বার বের করার চেষ্টা করতে পারবেন। তবে তারা পুরস্কার পাবেন না। শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে জুয়েলারি কিনেছেন এমন কেউ ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে সোনার বারটি কাচের বাক্স থেকে বের করতে পারলে তাকে ৫০ হাজার টাকার গিফট ভাউচার পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, সোনার বারটির ওজন ৭ কেজি। গত বছর তিনজন ক্রেতা এই পুরস্কার জিতেছিলেন। তবে এই বছর মেলার প্রথম দিন এবং দ্বিতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত কেউ বারটি বের করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মার্কেটে এমন গেম খেলার সুযোগ রয়েছে। তাই বাজুস ফেয়ারে জুয়েলারি প্রদর্শনী ও বিক্রির পাশাপাশি আমরা বিনোদনের অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা রেখেছি। এবার মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।