- বাংলাদেশের মূকাভিনয়ের বর্তমান হালচাল
- আসছে প্রত্যয় খানের নতুন মিউজিক ভিডিও
- বিয়ে করছেন লাক্স তারকা সামিয়া
- ২০০ পেরিয়ে ‘চাপাবাজ’
- নতুন অবতারে ঐশ্বরিয়া
- একদিকে অপরাহ উইনফ্রে অন্যদিকে জেনিফার লরেন্স
- বাদ পড়ছেন প্রিয়াঙ্কা, আসছে 'ডন ৩'
- তিরিশ বছর পর এক সঙ্গে হাজির হচ্ছেন সালমান-রেখা
- এমার সেরা বইয়ের তালিকায় বাংলাদেশ!
- চিরনিদ্রায় শায়িত ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
পোড়ামন-২ : শুটিংয়ের পিছনের গল্প ও কিছু ভালোবাসা

এই সিনেমার গল্প সম্বন্ধে কিছু বলবো না। বলবো শুটিং এর পিছনের কিছু গল্প, কিছু ভালোবাসার কথা, যা আপনারা পর্দায় দেখবেন না।
সারা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে পোড়ামন-২ এর পরিচালক টিম শেষে পছন্দ মত লোকেশন পেল মেহেরপুরে। সুন্দর সবুজে ঘেরা একটি ছোট গ্রাম, যার পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি নদী বয়ে গেছে।
যাইহোক, পোড়ামন-২ এর পরীর জন্য একটি জমিদার টাইপ বাড়ি দরকার। খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেলো, এক মেম্বার এর বাড়ি, বাড়ির মালিক ইভান ভাই। সামনে পুরাতন দিনের এক জমিদার বাড়ি, কিন্তু উনারা এখন ওই বাড়িতে থাকে না, বাড়ি খালি থাকে, জমিদার বাড়িরই পিছনে আরেকটা বাড়ি বানিয়ে ওখানে থাকেন। আমরা চাইতেই উনি দিয়ে দিলেন। টাকা দিলে উনি টাকা নিতে চাইলেন না। আমাদের বিনে পয়সায় উনার বাড়ি দিলেন ১৫ দিনের জন্য। আমরা সম্পূর্ণ বাড়ি ঘসে মেঝে রং করে নতুন এক রূপ দিলাম।
বাড়ি তো হল, এই বাড়ির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুরানো দিনের প্রপ্স (বাড়ির আসবার পত্র) কোথায় পাবো? এটা তো বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে না! এগিয়ে এলো, মেহেরপুরের লোকজন, উনারা বিভিন্ন বাসা থেকে নিজেদের ব্যবহারের আসবার পত্র এনে দিল। খাট, ঘড়ি, চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে সব।
শুরু হল, শুটিং। হাজার হাজার লোক চলে এসেছে শুটিং দেখতে। নায়ক নায়িকা দেখতে।
মজার ব্যাপার হল, ইভান মেম্বাররা ২ ভাই, দুই ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির লোক জন চলে এসেছে উনাদের বাড়িতে। বাড়িতে থেকে শুটিং দেখবে। এছাড়াও আরও কিছু মেহমান থাকার জন্য হাজির। অর্থাৎ ইভান মেম্বার এর বাড়ি মেহমান এ গিজগিজ। এবং এই মেহমানরা যাবে না। যতদিন শুটিং চলবে ততদিন থাকবে।
তারপরও একবারও উনাদের বিরক্ত হতে দেখি নাই আমাদের উপর। এবং এত হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু আমাদের শুটিং এর জন্য কোন সমস্যা হয় নাই, বরং যখন অনেক লোক দরকার শুটিং এর জন্য, আমাদের খুব সুবিধা হয়। মেহেরপুরের মানুষ অসম্ভব ভালো এবং ভদ্র। সরে যেতে বললে সরে যায়, সাহায্য চাইলেই পেয়ে যাই। আমরা বাংলাদেশের অনেক এলাকায় শুটিং করেছি, কিন্তু মেহেরপুরের মত এত আরামে শুটিং আর কোথাও করতে পাড়ি নাই।
শুধু এলাকার মানুষই নয়, চেয়ারম্যান, মেয়র, এসপি, ডিসি স্থানীয় থানা সবাই খুব সাহায্য করেছেন।
মেহেরপুরের ভালোবাসা আমাদের চিরঋণী করে রাখল।
লেখক : চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক আব্দুল আজিজ